সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ খুঁজছে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। ইলেকট্রিক কেতলি বা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও সঠিক তদন্তে জানা যাবে মূল কারণ। 

[৩] ঘটনাস্থল থেকে ১৫টির বেশি আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ফরেনসিক টিম। সেগুলো পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই স্পষ্ট হবে আগুনের নেপথ্যে কী ছিল কারণ।

[৪] সিআইডি বলছে, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ড গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি।  [৫] বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ফায়ার সার্ভিস যখন সমস্ত কাজ শেষ করেছে, আগুন নিভিয়েছে তখন সিআইডি’র একাধিক টিম সেখানে কাজ করেছে। সেখানে সিআইডি’র ফরেনসিক টিম, ডিএনএ টিম ও কেমিক্যাল টিম কাজ করেছে। বেশ আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। দুয়েক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাওয়া যাবে আগুনের কারণ কী।

[৬] তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জানতে পেরেছি, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাতের সম্ভাবনাই বেশি। কেমিক্যাল আলামতও টেস্ট করা হচ্ছে। এটার কারণ হচ্ছে সেখানে বিস্ফোরক জাতীয় কিছু ছিল কি-না। আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় আছি। রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হবে আগুনের কারণ।

[৭] ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লাগে। দুই ঘণ্টার মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এ ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১২ জনকে। সম্পাদনা : কামরুজ্জামান